সাত দিন আগের অসমাপ্ত লড়াই আজ হলো শেষ। শেষ হলো নাটকীয়তায়, উত্তেজনায়, প্রতিশোধে। শেষ হাসি হেসেছে বসুন্ধরা কিংস। টাইব্রেকারে আবাহনীকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে আবারও ফেডারেশন কাপের মুকুট নিজেদের করে নিল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
আজকের ম্যাচ ছিল সেই ‘বাকি থাকা’ সময়ের খেলা। ম্যাচ গড়িয়েছিল টাইব্রেকারে। আর টাইব্রেকার? সেটিও যেন এক থ্রিলার!
আবাহনীর হয়ে চতুর্থ শট নিতে আসেন মিরাজুল ইসলাম। গোলরক্ষক শ্রাবণ দারুণভাবে তার শট ঠেকিয়ে দেন, এবং কিংস তখনই উদযাপন শুরু করে দেয়। কিন্তু নাটক তখনও বাকি। রেফারি ফাউলের বাঁশি বাজিয়ে শট পুনরায় নেওয়ার নির্দেশ দেন।
রেফারির সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হন কিংসের গোলরক্ষক কোচ নুরুজ্জামান নয়ন। সেখানেই উত্তেজনার নতুন পর্ব—রেফারি সায়মন সানি নয়নকে দেখান হলুদ কার্ড।
পুনরায় শট নিতে আসা মিরাজুল গোল করেন, ম্যাচে সমতা ফেরে। কিন্তু শেষ হাসি হাঁসেনি আবাহনী।
কিংসের হয়ে শেষ শট নেন ব্রাজিলিয়ান ড্যাসিয়েল। বল জালে জড়াতেই ম্যাচ, ট্রফি, ইতিহাস—সব নিজেদের করে নেয় বসুন্ধরা কিংস।
ফাইনাল নয় শুধু, এটা ছিল এক মধুর প্রতিশোধ। কোয়ালিফায়ারে এই আবাহনীই টাইব্রেকারে হারিয়েছিল কিংসকে। সেই ম্যাচে আবাহনী দশজন নিয়ে লড়েও জিতেছিল। এবার দশজন নিয়েই জয় ফিরিয়ে আনল কিংস।
কিংস কোচ ভ্যালরি তিতে আগেও টাইব্রেকারের আগে গোলরক্ষক পরিবর্তন করে বাজিমাত করেছিলেন। এবার আর বদল করেননি। আস্থা রেখেছেন শ্রাবণের ওপর। শ্রাবণও যেন বলছিলেন—“এবার আমিই ফিনিশ করব!” দ্বিতীয় শটে আবাহনীর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এমেকার শট ঠেকিয়ে ম্যাচে এগিয়ে দেন দলকে।
আবাহনীর পক্ষে গোল করেন রাফায়েল, মাহাদী খান ও মিরাজুল। কিন্তু দ্বিতীয় শট মিসই হয়ে দাঁড়ায় ছিটকে পড়ার কারণ।
অন্যদিকে কিংসের হয়ে একে একে গোল করেন জোনাথন, মোরসালিন, তপু, ইনসান এবং শেষ ও চূড়ান্তভাবে ড্যাসিয়েল।
এই গোলের পর আবাহনীর পঞ্চম শট আর নেওয়ার দরকারই হয়নি। ম্যাচ শেষ, শিরোপা পুনরুদ্ধার, প্রতিশোধ সম্পূর্ণ।